তাঁতি
সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো
কল্পিত হতে থাকে বেনুসুতোয়।
ভাব বেড়ে ওঠে,ভাবে ভাবে সম্পর্ক
গড়ে ওঠে বুননের এক কাব্যরস।
সূচ সুতো,সুতো সূচ তৈরি করে
আল্পনার এক বৃহৎ জগৎ ;
যে জগতে অন্তঃসত্ত্বা হতে থাকে শিল্পী
প্রকৃতি এসে ধরা দেয় অপার ডাকে।
এ পৃথিবী শাড়িতে গেঁথে যায় কল্পনা জড়ি
শাড়িটির প্রতি ঢেউয়ে দুলে যায় আবেগগুলি।
সব হাসি-কাঁন্না, দুঃখ-প্রেম নিয়ে জ্যান্ত হতে থাকে শাড়ি
তাতে প্রতিটি সামাঙ্গিক ভাঁজে ভাসে তাঁতি মুখচ্ছবি।
টুকরো কাপড়
অস্তিত্ব যখন ছিঁড়ে যেতে থাকে
পাথরে পাথরে শিল্যান্যাস ব্যক্তিত্ব
আকাশের ছিঁড়ে আনা চাঁদটা কপালে বসতে চায়
মায়ের আঁচল পেতে দেয় সন্তানের অশ্রু
কিছু ফাঁপা কাঁন্না বাতাস নিয়ে ঘুরে বেড়ায়
মনুষত্বের পাল ছিঁড়ে নৌকাটা দৌড়বাজ হয়
পিয়াসী নদীটা তৃষ্ণা মেটাতে ব্যতিব্যস্ত
দু-মুঠো নুন ভাত ঝলসে নেয় চোখের জল
বড়ো লোকের আদুরে কুকুর গিলে নেয় মাংসপিন্ড
রেল স্টেশনের ভোর লাইট পোস্টটির নীচে
কতকগুলি অর্ধনগ্ন দেহ ঘুরে বেড়াচ্ছে
একটা ডাসবিনের এটোকুঁড়ে রুটি নিয়ে
লড়াই চলছে দুটো বাচ্চা প্রাণের
একটুকরো কাপড় নিয়ে বাঁচার অস্তিত্ব খোঁজার স্বাদ
তাড়িয়ে বেড়ায় একটা রুটির টুকরো জীবনে মানে।
No comments:
Post a Comment