আগুন ভর্তি জাহাজ
এক অষ্টাদশী সমুদ্রদুহিতা;
পিঙ্ক-স্ট্রব্রেরি জমা করে দীর্ঘ করেছ স্তন-সমুদয়।
দুর্নিবার স্রোতের বিপরীতে তুমি নিভিয়ে রেখেছ
আকাঙ্ক্ষার জলাঞ্জলি, উন্মাদ সূর্যের কাছে স্টারডাস্ট(কল্পনানুভূতি) ধার করে
বৃন্তের বেহালায় সাজিয়েছ 'সিরিয়াস'(উজ্জ্বলতম তারা)।- বাঁক থেকে
নেমে যাওয়া রেডিয়াম প্লানেটস, এক সজ্জা-ছায়ার পাদদেশে
অবসর বিলাস লিখিয়েছে ব্যাসার্ধের পরিচয়।
বহ্নিভরা কামনার 'আইল অফ হোয়াইট' ছেড়ে গ্যাছে
সাত-সাতটি আগুন ভরা জাহাজ। সেই কোন সময়!
পরাবাস্তব জোনাকদল
দহন নিভিয়ে সূর্য-পরাগ।
এ বর্ষা পেরুলেই হিমকাঠ বোঝাই হাওয়ারথ দাঁড়িয়ে থাকবে ত্রিনেত্রে; এক চোখে স্নাত রয়েল-ডক, অন্যাকাশে ধূপজ্বলা শিউলির আধো-গোলাপী ঠোঁট। বিধুর অয়ন ছেড়ে লবঙ্গ বোঝাই জাহাজ এসে ঘ্রাণ কুড়িয়ে নিতেই, বিহ্বলে লেখা একশ'টা অষ্টোক সুর ভেঙে যখন উড়ে যাবে রহস্যময়ী খমক, তখন তপ্ত পারদে ঢালা প্রপঞ্জের রঙ, মিশে যাবে দগ্ধ অভ্রের গলিত ঘ্রাণে। এরপর স্বর্ণকুচি মাখা শরত যেন, পরাবাস্তব মায়ার টানে স্টারলিঙের ডানায় লুকিয়ে পাড়ি দেবে ভৈরবের কোলাহলে।
সপ্তসুর-দগ্ধ-স্নাত-সাতী।
সন্ধ্যাকুমারীসেঁতার হেঁটে এলে জলের পাহাড়, এক অবিরাম ঠুমরি নেমে পড়ে রাত্রি বক্ষে। কতবার খুলে পড়েছে সে উদ্যানের গোপন বাক্সে জমা মাস্তুলের ঘুড়ি! তবু উড্ডয়নের প্যারাসুট সংগীত, অচেনা ভেবে পাড়ি দ্যায় আরেকটি মহাকাল।
অকারন কোলাহল বোহেমিয়ান।
পাথরের উপর পাথর ব'সে, জমাট বরফ খুলে রাখে কপাট; অযুত লহরী ভেঙে, অতিথি হয়ে ওঠে রাক্ষসীর সবুজ চোখ; কর্নিয়ার ফাঁকে পাঁচতারা বিকেল তাড়িয়ে আনে জুনিপার গ্রাম। শরত তখন হরিদ্রাভ আগুন মেখে সবে ভোরের বাদ্য শুনিয়েছে বাকলের কর্ণকূহরে। হিম-রিম-হিম যেন পিয়ানোর রিড থেকে তুলে নিয়েছে আগমনী ট্রাম, হুইসেলের লোকালয়ে বনোহরিনী, পাতার অরণ্যঝোপ থেকে জোনাকদল আলো কুড়িয়ে এনে, কালভ্রমনে প্রহর রেখেছে বাজি।
No comments:
Post a Comment